বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি প্যাথলজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (২১)। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলমগীর হোসেন খানের মেয়ে।
ওসি তারিকুল বলেন, বরিশাল কোতোয়ালি থানায় ওই ছাত্রী নিখোঁজের জিডির সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া থেকে সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার এসআই আবদুল ওহাব জানান, গত ১৯ নভেম্বর ওই ছাত্রী কলেজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ২২ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
“জিডির সূত্র ধরে এবং ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিরাজকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
আটকের পর সিরাজুলকে প্রধান আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওহাব বলেন, সিরাজের দেওয়া তথ্য তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ওসি তারিকুল বলেন, আটকের পরে সিরাজুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ঘটনার ১৫ দিন আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০ নভেম্বর মেয়েটিকে মঠবাড়িয়ায় এনে সহযোগীদের নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
“এ সময় ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করার হুমকি দিলে সহযোগীদের নিয়ে মেয়েটি হত্যা করে মাছুয়া এলাকার বলেশ্বর নদীতে ফেলে দেয়।”
সিরাজুলকে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই