ডিমের কেজি ৫০ টাকা!
ডিমের কেজি ৫০ টাকা!
ঈশ্বরদীতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ডিম। এই এলাকায় ছোট-বড় প্রায় ১৫শ' পোলট্রি খামার থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ লাখ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণে ডিমের দাম কমে যাওয়ায় ঈশ্বরদীর পোলট্রি শিল্পে ধস নেমেছে। ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি করতেও হিমশিম খাচ্ছেন। পোলট্রি ব্যবসায়ীরা জানান, এই এলাকার পোলট্রি ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। অনেকে লোকসান দিতে দিতে নিরুপায় হয়ে ব্যবসা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আবার লোকসানের জন্য বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে যথাসময়ে শোধ করতে না পেরে পথে বসার উপক্রম হয়েছে অনেকের। পোলট্রি ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবারের দাম না কমলে এবং ডিমের দাম না বাড়লে ঈশ্বরদীর পোলট্রি শিল্পে ধস নামবে।
এদিকে এই অবস্থায় ঈশ্বরদীতে এবার কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ডিম। শনিবার বিভিন্ন এলাকার ডিমের আড়ত ও পোলট্রি খামারে খোঁজ নিতে গেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে আড়তদার ও পোলট্রি খামারিরা জানিয়েছেন, ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় তারা অনেকটা বাধ্য হয়ে হালিতে বিক্রি না করে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে কেজি দরে বিক্রি করছেন ডিম।
ঈশ্বরদীর মাড়মি এলাকার পোলট্রি খামারি শামীম হোসেন বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন এই এলাকার ডিম আড়তদারদের কাছ থেকে কেজি দরে ডিম কিনে ট্রাকভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। টেবুনিয়ার ডিম আড়তদার আশরাফ আলী জানান, ডিমের দাম কমে যাওয়ায় তারা এখন কেজি দরে বিক্রি করছেন ডিম। দাশুড়িয়া এলাকার খামারি রাজীব মালিথা রনি বলেন, ডিমের দাম কমে যাওয়ায় এই এলাকার পোলট্রি শিল্পে ধস নেমেছে। খামারে খামারে পোলট্রি ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজিতে ১৪-১৫ পিস ডিম হয়। এক কেজি ডিমের দাম ৫০ টাকা অর্থাৎ ২০ টাকা হালি হিসেবে এখন ঈশ্বরদীতে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪ টাকা দরে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা জামান বলেন, এ বছর চাহিদার চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি উৎপাদন এবং মুরগির রোগের প্রাদুর্ভাব না থাকায় এই এলাকায় এ বছর ডিম উৎপাদন বেশি হয়েছে, সে কারণে দাম কমেছে। পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১৫শ' পোলট্রি খামার রয়েছে, এসব খামার থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি।
কোন মন্তব্য নেই