খালেদা জিয়ার মামলায় পরামর্শ নিতে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার মামলায় পরামর্শ নিতে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ



বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খা‌লেদা জিয়ার মামলা প‌রিচালনাকা‌রী আইনজীবী‌দের পরামর্শ ও সহ‌যো‌গিতার জন্য একজন ব্রিটিশ আইনজীবী‌কে নি‌য়োগ দি‌য়ে‌ছে বিএন‌পি। ব্রিটেনের এই আইনজীবীর নাম লর্ড আলেকজান্ডার চার্লস কারলাইল।
 
আজ মঙ্গলবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, লর্ড কারলাইন আন্তর্জাতিক আইন মেনেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের পরামর্শ দেবেন। মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (লর্ড কারলাইন) দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটেনের রাজনীতি ও আইন পেশার সঙ্গে জড়িত। প্রয়োজনে তিনি বাংলাদেশেও আসতে পারেন।আমরা (বিএনপি) তাকে পেয়ে আনন্দিত।
 
ফখরুল ব‌লেন, ব্রিটে‌নে যারা আমা‌দের রাজনী‌তির সমর্থক র‌য়ে‌ছেন তাদের সঙ্গে আ‌লোচনা ক‌রে এ ব্রিটিশ আইনজীবী‌কে নি‌য়োগ দেয়া হ‌য়ে‌ছে।
 
তিনি ব‌লেন, খালেদা জিয়ার বিরু‌দ্ধে ৩৬টি মামলার ম‌ধ্যে এক‌টি মামলায় বেআই‌নিভা‌বে সাজা দেয়া হ‌য়ে‌ছে।ন‌জির‌বিহীনভা‌বে জা‌মিন রে‌হিত করা হ‌য়ে‌ছে। এ‌তে প্রমা‌ণিত হয় দে‌শে আই‌নের শাসন নেই। ন্যায় বিচার এ‌কেবা‌রেই অনুপ‌স্থিত।
 
দে‌শীয় আইনজীবীরা কী য‌থেষ্ট নয় এমন প্র‌শ্নে তি‌নি ব‌লেন, নট এনাফ। তি‌নি আমা‌দের লিগ্যাল ডি‌ফেন্স টিম‌কে সহ‌যো‌গিতা কর‌বেন। তি‌নি ক্রি‌মিনাল মামলায় পারদ‌র্শী। এছাড়াও এর মাধ্য‌মে মামলা‌টি আন্তর্জা‌তিক প‌রিম‌ন্ডলে তু‌লে ধরা যা‌বে। ফখরুল জানান, লর্ড কারলাইল নিজেও খা‌লেদা জিয়ার মামলা প‌রিচালনাকারী আইনজীবী টি‌মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হ‌তে পে‌রে আনন্দিত বলে জানিয়েছেন। তিনি খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের বিষয়ে অবগত আছেন।
 
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তাকে বেআইনিভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। নজিরবিহীনভাবে জামিন রোহিত করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, দেশে আইনের শাসন নাই। ন্যায়বিচার একেবারেই অনুপস্থিত।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
 
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ হাউস অব লর্ডসের স্বতন্ত্র সদস্য কারলাইল ব্রিটেনের শীর্ষ আইন বিশেষজ্ঞদের অন্যতম। পোলিশ ইহুদি অভিবাসী পরিবারে তাঁর জন্ম ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে আইনে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ১৯৬৯ সালে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি ‘কুইন’স কাউন্সেল (কিউসি)’ নিযুক্ত হন। লর্ড কারলাইল একজন ব্যারিস্টার এবং লন্ডনের শীর্ষস্থানীয় ব্যারিস্টারদের চেম্বার ‘ফাউন্ড্রি চেম্বারসের সাবেক প্রধান।
 
তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে লন্ডনে একাধিক সেমিনার করেছেন। গত বছর জুলাই মাসে হাউস অব লর্ডসে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার-অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাজনৈতিক দলসমূহের ভূমিকা ‘শীর্ষক সংলাপে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তিনি আমন্ত্রণ জানান। তবে আওয়ামী লীগ অংশ নেননি।
 
লর্ড কারলাইল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও জামায়াত নেতার মীর কাসেম আলীর বিচার নিয়ে সমালোচনামুখর ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.