বিস্ময়কর লাইব্রেরি

বিস্ময়কর লাইব্রেরি


‘এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়াা আছে।’ লাইব্রেরিকে এভাবেই বর্ণনা করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আবার বলা হয়ে থাকেÑ যে জাতির লাইব্রেরি যত উন্নত সেই জাতি তত উন্নত।
সেই পথেই হাঁটছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন। দেশটির তিয়ানজিয়ান প্রদেশের বিনহাই জেলায় গড়ে তোলা হয়েছে একটি লাইব্রেরি। যেটি বইপ্রেমীদের কাছে স্বর্গের মতো। যেখানে ঠাঁই পেয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শ্রেষ্ঠ ১২ লাখ বই। জ্ঞানপিপাসুদের জন্য এক জ্ঞানসমুদ্র গড়ে তুলেছে তিয়ানজিয়ান। এ ছাড়া চমকপ্রদ অবকাঠামো হতবাক করবে সবাইকে। লাইব্রেরিটিতে রয়েছে বিশাল গোলাকার অডিটোরিয়াম। এর ভেতরটা সম্পূর্ণ সাদা রঙের। বই রাখার তাকগুলো অনেকটা স্টেডিয়ামের গ্যালারির আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। বই পড়তে চাইলে পাঠককে সিঁড়ি দিয়ে উঠে যেতে হবে তাকের উপর। এরপর তাকের উপর বসেই পড়া যাবে বই।
চীনের দৃষ্টিনন্দন লাইব্রেরিকে বলা হয়ে থাকে ‘বিনহাইয়ের চোখ’। বাইরে থেকে লাইব্রেরিটা দেখতে চোখের মতো মনে হবে। লাইব্রেরি ভবনটি ডিজাইন করেছে এমভিআরডিভি নামের ডাচ প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান। সহযোগিতায় ছিল তিয়ানজিয়ান প্রদেশের আরবান প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট। 
এটি নির্মিত হয়েছে ৩৪ বর্গমিটার জমির ওপর। নির্মাণে সময় লেগেছে তিন বছর। এতে একটি বিশ্রামাগার, বেশ কিছু সেমিনার রুম ও কম্পিউটার ক্যাফে রয়েছে।
লাইব্রেরিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য পাঠকদের যথেষ্ট ব্যক্তিস্বাধীনতা রয়েছে এতে। বলা হচ্ছে, এটি বিশ্বের সব চেয়ে আধুনিক লাইব্রেরিগুলোর একটি। তবে লাইব্রেরির সৌন্দর্য বইয়ের ওপর থেকে পাঠকের মনোযোগ কেড়ে নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইন্টারনেট।

কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.