২০১৮ সালে কোন পথে ফেসবুক?

২০১৮ সালে কোন পথে ফেসবুক?



নতুন বছরে ফেসবুককে ঝুটঝামেলামুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ২০১৭ সালজুড়ে ফেসবুককে কেন্দ্র করে বিভিন্ন নেতিবাচক ইস্যুর পাশাপাশি প্লাটফর্মটিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ ছিল লক্ষণীয় মাত্রায়। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেসবুক ব্যবহার করে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ফেসবুক ও এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে।
সোশ্যাল মাধ্যমটির রাজস্বের বেশির ভাগ আসে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন খাত থেকে। এর অনলাইন বিজ্ঞাপন প্লাটফর্ম নিয়েও আছে নানা বিতর্ক। নতুন বছরে ফেসবুকের মাধ্যমে হয়রানি ও ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সম্ভাব্য হুমকি ঠেকানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন জাকারবার্গ। মূলত বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে কেন্দ্র করে চলমান বিতর্কের অবসানে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্য ভ্রমণ ও স্থানীয়দের সাথে সময় কাটানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। তবে এবার তিনি ফেসবুক ঘিরে সৃষ্ট নানা বিতর্কের কার্যকর সমাধান দিতে সক্রিয় হতে চান।
সম্প্রতি জাকারবার্গ নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ব্যক্তিগতভাবে নতুন বছর ঘিরে আমার লক্ষ্য হলো- ফেসবুকের বিভিন্ন ত্রুটি সারানো ও ব্যবহারকারীদের কাছে প্লাটফর্মটিকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। ফেসবুকের অপব্যবহার এখনো পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব হয়নি। বেশ কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। তবে সম্প্রতি ফেসবুকের নীতিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর স্থায়ী সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছি। এতে কিছুটা হলেও ফেসবুকের অনেক ফিচারের অপব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ২০১৮ সাল জুড়ে গৃহীত উদ্যোগ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে তা আমাদের জন্য হবে বড় অর্জন। ক্রমান্বয়ে ফেসবুকের রাজস্ব বাড়ায় ফেসবুককে যুগোপযোগী বিভিন্ন কনটেন্ট ও ইস্যু সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক থাকতে হবে। তা না হলে গ্রাহকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
সব কিছু মিলিয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি হিসেবে ফেসবুক চার ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সামাজিক ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া জরুরি হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ফেসবুক ব্যবহার কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, তা খতিয়ে দেখা ও এর দায়ভার নিতে হবে। ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.