টাইটানিকেও পিছনে ফেলল যে জাহাজ?

টাইটানিকেও পিছনে ফেলল যে জাহাজ? 


সমুদ্রের বুকে ভাসমান জাহাজের কথা বললেই ভেসে ওঠে ‘টাইটানিক’ -এর ছবি। তবে টাইটানিকের থেকে বড় জাহাজ এখন ইউরোপে রয়েছে। যেমন ‘ওয়েসিস অব দ্য সিজ’।
আভিজাত্য ও আকারের দিক থেকে এটি টাইটানিকের চেয়ে অনেক গুণ এগিয়ে। প্রায় পাঁচটা টাইটানিক ঢুকে যাবে এর মধ্যে। এত দিন পৃথিবীতে সর্ববৃহৎ জাহাজ হিসেবে বিখ্যাত ছিল যে ফ্রিডম অব দ্য সিজ, তার তুলনায় ‘ওয়েসিস অব দ্য সিজ’ ৭৫ ফুট বেশি লম্বা। 
উইকিপিডিয়া বলছে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল জাহাজের নাম ‘ওয়েসিস অব দ্য সিজ’। বাংলায় যার মানে দাঁড়ায় ‘সমুদ্রের বুকে এক টুকরো মরুদ্যান’।
২২ তলাবিশিষ্ট বিলাসবহুল এই জাহাজটিতে রয়েছে ১৬টি ডেক এবং ২,৭০০টি বিলাসবহুল রুম। জাহাজটি একসঙ্গে ৬ হাজার ৩০০ যাত্রী বহন করতে পারে। আর যাত্রী ও জাহাজের পরিষেবায় সর্বদা সতর্ক জাহাজের ২,১০০ জন ক্রু।
মোট সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে জাহাজটিকে। রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, পুল, ফিটনেস সেন্টার, বিনোদনকেন্দ্র। বিশ্বের প্রথম ভাসমান উদ্যানটি এই জাহাজেই অবস্থিত। যেখানে ১২ হাজার গাছের চারা এবং ৫৬টি গাছ রয়েছে। জাহাজের পেছনের অংশে রয়েছে ৭৫০টি আসনবিশিষ্ট থিয়েটার, রয়েছে সুইমিংপুল যেটি রাতে ব্যবহৃত হয় সাগরের বুকে ভাসমান থিয়েটার হিসেবে।
যারা সমুদ্রে সার্ফ করতে ভয় পান তাদের সার্ফিং করা জন্য বানানো হয়েছে জাহাজের মধ্যেই দু’টি সার্ফ এরিয়া। একটি পূর্ণবয়স্কদের জন্য, আরেকটি শিশুদের জন্য। ইন্টারনেট।

কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.