অর্গাজম কি? মেয়েদের অর্গাজম কি? মেয়েদের অর্গাজম কিভাবে হয় বা মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার লক্ষণ।
অর্গাজম কি? মেয়েদের অর্গাজম কি? মেয়েদের অর্গাজম কিভাবে হয় বা মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার লক্ষণ।
অর্গাজম কি?
অর্গাজম হলো একটি চরম উত্তেজনা এবং একটি তীব্র আনন্দদায়ক শারীরিক প্রতিক্রিয়া যা নারী ও পুরুষের যৌন উদ্দীপনা প্রকাশ করে। যদিও ছেলেদের ও মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার লক্ষণ গুলি বর্ণনা করতে পারে এমন কোনও বই বা সেক্স গাইড নেই।প্রত্যেকের দেহের নিজস্ব অনুভুতি বা বলার গল্প রয়েছে।
অর্গাজমের সময় আপনি আসলে আনন্দ বা তৃপ্তির একটি চরম পর্যায় পৌঁছে যাবেন যা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। তবে বয়ঃসন্ধির কোনো একদিন হয়তো একসাথে কয়েকটি দেশ মহাদেশ আবিস্কারের মজা পাওয়ার মতো, আপনি নিজেই এই অর্গাজমের মজা আপনার শরীর থেকে আবিস্কার করেছেন বা করবেন।
এক কথায় যৌনসঙ্গমের শেষ পরিণতি হলো চরমানন্দ লাভ।এই অবস্থাকে বলা হয় অর্গাজম বা রাগমোচন। পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যপাতের মাধ্যমে অর্গাজম বা রাগমোচন তথা চরমানন্দ লাভ হযে থাকে। কিন্তু মেয়েদের অর্গাজম বিষয়টা আলাদা। মেয়েদের, ছেলেদের মতো বীর্যপাত হয়না। মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌনতা উপভোগ কর হয় সম্পূর্ণ মেন্টালেটি দিয়ে। তাই মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার জন্য বেশি সময় লাগে।
মেয়েদের অর্গাজম কি?
এই সময়ে প্রতিটি মেয়ের শরীরে কিছু অনিচ্ছাকৃত প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং কিছু সাধারণ সংকেতের মধ্যে রয়েছে যোনিতে সংকোচন, শ্রোণী উত্তোলন বা খোঁচা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, পেশী খিঁচুনি, পায়ের আঙ্গুল বা আঙ্গুল কুঁচকানো এবং হাহাকার।মূলত মেয়েদের অর্গাজম সেক্সের শেষ পর্বে চূড়ান্ত ভাললাগার একটি মুহূর্ত।
মেয়েদের অর্গাজম কিভাবে হয় বা মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার লক্ষণ।
প্রথমে আমরা জানলাম, অর্গাজম কি এবং মেয়েদের অর্গাজম মানে কি। এখন আমরা জানবো, মেয়েদের অর্গাজম কিভাবে হয় এবং মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার লক্ষণ। সাধারনত মেয়েদের (female) যৌন স্বাভাবিক আকারে ৯ সেঃমিঃ বা প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি। তবে এটি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়ে থাকে যেমন যৌনমিলনের সময়, সন্তান জন্মের সময় এমনকি মেয়েদের হস্তমৈথুন বা স্বমেহনের সময়।
মেয়েদের যৌনাঙ্গের সাথে সম্পর্কযুক্ত একই মাত্রার অঙ্গ হলো সারবিঙ। মেয়েদের (female) যৌনাঙ্গে অথ্যাৎ যোনিতে প্রায় ত্রিশ রকমের কৌশিক কলা রয়েছে। এগুলো গভীর এবং সহবাসের সময় লিঙ্গের চাপ এটি সহ্য করে নিতে পারে । উত্তেজনার সময় মেয়েদের যৌনাঙ্গ থেকে সাধারণত ল্যাকটিক এসিড নি:স্বরিত হয়, একে যৌনরস বা মিউকাস বলা হয়। এটি মেয়েদের যৌন উদ্দিপক এক প্রকার তরল। মেয়েদের যৌন উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই তরল মেয়েদের যৌনাঙ্গ বেয়ে বাইরে চলে আসতে পারে।অনেকেই এটাকে মেয়েদের অর্গাজম মণে করেন।কিন্তু এটি আসলে মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার লক্ষণ না।
অনেকেই জানতে চান, মেয়েদের অর্গাজম হলে কি হয়? বা মেয়েদের অর্গাজম হলে কি বীর্যপাত হয়? এছাড়া, অনেক নারী ও পুরুষ বীর্যপাত এবং অর্গাজমের মধ্যে তফাত বুঝতে পারেন না।মেয়েদের অর্গাজম হলে বীর্যপাত হবে তার কিন্তু কোনও মানে নেই। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে তাঁরা অর্গাজমে পৌঁছলে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না, তাই তাঁদের বীর্যপাত হবেই।
কিন্তু, মেয়েদের বীর্যপাত বলতে কিছু নাই, কিন্তু, আগেই বলেছি সহবাসের সময় যোনীতে কামরস নিঃসরণ হয় যেটা যোনিপথকে পিচ্ছিল করে। এটা মেয়েদের অর্গাজম নয়। তাহলে মেয়েদের অর্গাজম কি বা মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার লক্ষণ কি? মেয়েদের অর্গাজম চরম সুখানুভূতি যেটা মানসিক।
এই সময়ে প্রতিটি মেয়ের শরীরে কিছু অনিচ্ছাকৃত প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং কিছু সাধারণ সংকেতের মধ্যে রয়েছে যোনিতে সংকোচন, শ্রোণী উত্তোলন বা খোঁচা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, পেশী খিঁচুনি, পায়ের আঙ্গুল কুঁচকানো এবং চরম আনন্দ লাভ।মূলত মেয়েদের অর্গাজম সেক্সের শেষ পর্বে চূড়ান্ত ভাললাগার একটি মুহূর্ত।
তবে, সাধারণত ছেলেদের থেকে মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার জন্য বেশি সময় লাগে।তাই ছেলেদের উচিত সহবাসে মেয়েদের অর্গাজম নিশ্চিত করার দিকে নজর দেয়া।এছাড়া, মেয়েদের অর্গাজম শুধুমাত্র পুরুষ সঙ্গীর সাথে সহবাসে নয়, মেয়েদের হস্তমৈথুন কিংবা নানারকম যোগ ব্যায়ামের মাঝেও ঘটতে পারে।
মেয়েদের অর্গাজম পুরুষদের তুলনায় দেরিতে হলেও তার রেশ কিন্তু অনেকক্ষণ থাকে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণত অর্গাজমের অনুভূতি পুরুষের মধ্যে সাত সেকেন্ড পর্যন্ত থাকে, সেখানেই মেয়েদের এই সুখানুভূতি ২৭ সেকেন্ডের বেশি সময় পর্যন্ত বজায় থাকে। আর মেয়েদের তো একবার না, বারবার অর্গাজম হতে পারে! আশাকারি মেয়েদের অর্গাজম কিভাবে হয় এবং মেয়েদের অর্গাজম হওয়ার লক্ষণ কি তা আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
কোন মন্তব্য নেই