সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা পুরকৌশল এর ইতিহাস।

পুরকৌশল


  
(সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের জঙ্কঃ স্মিয়াথন )

পুরকৌশল হল পেশাদার প্রকৌশল ব্যবস্থার একটি অন্যতম শাখা যেখানে নকশা, নির্মাণ কৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয় যার মধ্যে সেতুরাস্তা, পরিখা, বাঁধভবন ইত্যাদি নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত।মূলত পৃথিবীর সর্বত্র পুরকৌশলীদের কাজ রয়েছে।  সামরিক প্রকৌশল ব্যবস্থার পর পুরকৌশল হল সবচেয়ে পুরাতন প্রকৌশল ব্যবস্থা এবং ইহা অসামরিক ও সামরিক প্রকৌশল ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্যকারী বিভাগ।পুরকৌশলকে ঐতিহ্যগতভাবে বেশ কিছু উপ-শাখায় বিভক্ত করা হয় যেমন স্থাপত্য প্রকৌশলপরিবেশ প্রকৌশলজিওট্যাকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংভূপ্রকৃতিবিদ্যাভুগণিতনিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলস্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংভূমিকম্প প্রকৌশলপরিবহন প্রকৌশলপৃথিবী বিজ্ঞানবায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানফরেনসিক প্রকৌশলপৌর বা শহুরে প্রকৌশলপানি সম্পদ প্রকৌশলউপকরণ প্রকৌশলউপকূলবর্তী ইঞ্জিনিয়ারিংমহাকাশ প্রকৌশলপরিমাণ জরিপউপকূলীয় প্রকৌশল, মাপজোপপরিবেশবিজ্ঞানভূতত্ববিদ্যানগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাঅবকাঠামো প্রকৌশলবস্তুবিদ্যাজলবিজ্ঞানভূমি জরিপ এবং নির্মাণ প্রকৌশলসরকারী-বেসরকারী সকল বিভাগেই পুরকৌশল সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
       পুরকৌশল পেশার ইতিহাস
 মানব সভ্যতার শুরু থেকে প্রকৌশল জীবন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ এবং ২০০০ সালে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা ও মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা (প্রাচীন ইরাক) থেকে পুরকৌশলের যাত্রা শুরু বলে ধারনা করা হয়, ঠিক যখন থেকে মানুষ তাদের   বসবাসের জন্য আবাস নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। সেই  সময়ে চাকা এবং পাল আবিস্কার হবার ফলে যোগাযোগ ব্বস্থার গুরুত্ব  দারুনভাবে বৃদ্ধি পায়।

বেশ কিছুদিন আগ পর্যন্তও পুরকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যার মধ্যে কোন সুস্পষ্ট পার্থক্য ছিল না এবং প্রকৌশলী ও স্থপতি শব্দ দ্বারা ভৌগলিক স্থানভেদে, মূলত একই ব্যাক্তিকে বোঝান হত। মিশরের পিরামিডকে (খ্রিস্ট পূর্ব ২৭০০-২৫০০) বিশ্বের ইতিহাসে বড় কাঠামো নির্মাণের প্রথম দৃষ্টান্ত বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য পুরকৌশল নির্মাণকাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কানাত পানি ব্যাবস্থাপনা কৌশল (সবচেয়ে পুরানোটি ৩০০০ বছর পূর্বের ও প্রায় ৭১ কিলোমিটার লম্বা,দ্যা অ্যাপেইন ওয়ে, চীনের গ্রেট ওয়ালইত্যাদি। রোমানরা, তাদের সাম্রাজ্যজুড়ে নালা পোতাশ্রয়, সেতু বাঁধ, রাস্তাসহ অসংখ্য বেসামরিক স্থাপনা গড়ে তোলে।

১৮শ শতাব্দীতে পুরকৌশল শব্দটিকে সামরিক প্রকৌশলবিদ্যার বিপরীত হিসেবে ব্যবহার করা হত। বিশ্বের প্রথম স্বঘোষিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন জন স্মিয়াথন যিনি এডিস্টোন লাইটহাউস তৈরি করেছিলেন। ১৭৭১ সালে স্মিয়াথন ও তার কয়েকজন সহকর্মী মিলে স্মিয়াথন সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। যদিও তাদের কারিগরি বিষয় নিয়ে কিছু বৈঠক হয় তথাপিও এটি একটি সামাজিক সংগঠনের চেয়ে বেশি কিছু ছিল না।

১৮১৮ সালে লন্ডনে ইন্সিটিউট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯২০ সালে থমাস টেলফোর্ড এর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৮২৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি রাজকীয় সনদ গ্রহণ করে যা পুরকৌশলকে একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নরউইচ ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বেসরকারি কলেজ হিসেবে পুরকৌশল পড়ান শুরু করা হয়, ১৮১৯ সালে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৩৫ সালে রেন্সিলেয়ার পলিটেকনিক ইন্সিটিউট থেকে পুরকৌশলে সর্বপ্রথম ডিগ্রি প্রদান করা শুরু হয়। ১৯০৫ সালে প্রথম নারী হিসেবে পুরকৌশলে সেই ডিগ্রী পান নোরা স্ট্যান্টোন ব্লাচ কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে। সুত্রঃ উইকিপিডিয়া।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

প্রডাক্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন Samsung Galaxy J7 Prime (32GB) G610F/DS - 5.5" Dual SIM Unlocked Phone with Finger Print Sensor (Gold)

1 টি মন্তব্য:

  1. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন।লাইক, কমেন্টস করতে ভুলবেন না।

    উত্তরমুছুন

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.