অবৈধ হাট সাংসদ বাতেনের।

অবৈধ হাট সাংসদ বাতেনের।


টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সাংসদ খন্দকার আবদুল বাতেন নাগরপুর উপজেলায় নিজ গ্রাম কোনড়ায় অবৈধভাবে হাট বসিয়েছেন। হাটটি পরিচালনা করছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। সরকারি অনুমোদন না থাকলেও প্রতি শুক্রবার হাট থেকে ‘খাজনা’ তুলছেন তাঁরা।
হাটটির কারণে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে শতবর্ষ পুরোনো লাউহাটি হাটে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। এই হাটের ব্যবসা নষ্ট করার জন্য সাংসদের লোকজন অবৈধ হাটটি বসিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক বলেন, কোনড়ায় অবৈধ হাট পরিচালনার মধ্য দিয়ে সাংসদ প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি আইনকানুন মানেন না। নিজেকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মনে করেন। তাঁর এসব কার্যকলাপের জন্য দলের নেতা-কর্মীরাও বিব্রত।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, সাংসদ আবদুল বাতেন গত আগস্টে মোকনা ইউনিয়নের কোনড়া গ্রামে সাপ্তাহিক হাটটি চালু করেন। তাঁর ভাই খন্দকার আবদুল করিমকে সভাপতি ও ভাতিজা হুমায়ুন কবিরকে সাধারণ সম্পাদক করে হাট পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার এখানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করেন কমিটির লোকজন। এলাকার কেউ এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করার সাহস পান না।
খন্দকার আবদুল করিম বলেন, হাটটি বসানোর জন্য তাঁরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। তবে এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তারপরও জনস্বার্থে তাঁরা এটা চালু করেছেন।
হুমায়ুন কবির বলেন, হাটে যে টাকা ওঠে, তা দিয়ে হাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে। হাটটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
লাউহাটির একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এই হাটের ব্যবসা নষ্ট করার জন্য সাংসদের লোকজন কম খাজনায় তাঁদের অবৈধ হাটে বেচাকেনার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তাঁদের হাট সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিতে হয়নি। তাই তাঁরা কম খাজনায় হাট চালাতে পারেন।
লাউহাটির ইজারাদার রেজাউল করিম বলেন, তিনি গত বৈশাখ থেকে আগামী চৈত্র মাস—এক বছরের জন্য ৭৭ লাখ টাকায় হাটটি ইজারা নিয়েছেন। ভ্যাট, ট্যাক্স, জামানতসহ সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন ৯৭ লাখ টাকা। অথচ বিনা ইজারায় সাংসদের লোকজন অবৈধ হাট চালাচ্ছেন।

কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.